Wednesday, January 26, 2022

সমাজ উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা এবং কিছু অপ্রিয় সত্য কথা!! lekhalekhi blog

 যুবারা সমাজের অভিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ কথা অনস্বীকার্য যে, সমাজ উন্নয়নে যুব সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যুবকরা যুগে যুগে তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে সমাজটাকে ফুলের বাগানের মত তৈরী করে রেখেছিলো। এজন্যই আমাদের সমাজ এতো সুন্দর, এতো রঙ্গিন ছিলো। মানুষ মারা গেলে এই যুবরাই অন্তর থেকে কেঁদেছে, নিজ হাতে কবর খুঁড়েছে এবং সংকীর্তন করে মৃতদেহ সমাহিত করেছে। তাদের কোন চাওয়া-পাওয়া তো ছিলোই না বরং এটাকে তারা একটা সামাজিক দায়িত্ব হিসেবেই পালন করে ধন্য হয়েছে। যুবকরা এক সাথে পিয়াজের দানা লাগিয়েছে, নাইলা ক্ষেত নিরায়েছে .. আরো কত কি করেছে.. যার কোন হিসাব নেই। যুবকরা সংগঠন বানিয়ে সংগঠনের মাধ্যমে রাস্তা মেরামত করেছে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা করেছে, সমাজের গুণীদের সবংর্ধনা দিয়েছে, যুব সম্মেলন করেছে, পরীক্ষায় কৃতকার্যদের সবংর্ধনা দিয়েছে, সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য ম্যাগাজিন করেছে, ফ্রি কোচিং করেছে .. আরো অনেক কিছু করেছে। কোন বিয়ে-শাদি হলে যুবরা বিয়ের খরি ফারা (লাকড়ী) থেকে শুরু করে বিয়ের সাইদারী পর্যন্ত যাবতীয় কাজ সুসম্পন্ন করতো। আর গ্রামের মা-বোনরা (মহিলারা) রান্না করতো। এসব এখন হারিয়ে গেছে অতল গহবরে। এখন যে কি জামানা এসেছে? ডেকোরেটর দিয়ে রান্না-বান্না-সাইদারী সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ফলে বিয়ের যে আসল মৌলিকত্ব, তা হারিয়ে গেছে। এর ফলে আমাদের বিয়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো যেমন মাংস দিয়ে ভাজি-মাসকলাই ডাল-আমিলা ডাল-দুধভাত ইত্যাদি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। আর এর স্থান দখল করেছে শহুরে পুলাও-বিরিয়াণী। এই দিকে আমাদের কোন নজর নেই।

lekhalekhi blog which is fantastic lekhalekhi blog site

এবার আসি বর্তমান যুব সমাজের দিকে। সত্যি কথা বলতে কি, বর্তমান যুব সমাজ আপাদ-মস্তক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। ঘরে মদ, বাইরে মদ, মদ আর মদ। বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠানাদিতে মদের কোন জুরি নাই। মদ ছাড়া কোন অনুষ্ঠান হয় না। মরা মাটি দিতে মদ লাগে, কবর খুঁদতে মদ লাগে। হায়রে সমাজ!! এ সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। মদের পিছনে ঘুরে সমাজ মেধাশূণ্য হয়ে গেছে। সারা গ্রাম খুঁজলেও একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ, বুদ্ধিমান মানুষ পাওয়া যায় না।  

The best lekhalekhi blog in Dhaka, Bangladesh. lekhalekhi blog is outstanding.    

এ ঘুনে ধরা সমাজকে বাঁচাতে হবে। যার যার লেভেল থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটা শুধু প্যারিস কাউন্সিলের দায়িত্ব না, সংগঠনের দায়িত্ব নয়, মেম্বার-চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব নয়। এই দায়িত্ব আমাদের সবার।

-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ঢাকা, ২৭/০১/২২




Tuesday, January 25, 2022

একটি সড়ক দুর্ঘটনা: সারা জীবনের কান্না !!

২০২১ সালে দেশে ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৮০৯ জন। আহত হয়েছে ৯ হাজার ৩৯ জন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট দুর্ঘটনার ৯১ শতাংশই সড়কে ঘটছে। আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২১’ প্রকাশ করে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৭০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৫১ জন করে মানুষ মারা গেছে। দৃষ্টির অগোচরেও আরও অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও অনেক মানুষ মারা গেছে বলে ধারনা করা হয়। কেউ কেউ আবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্বকে সারা জীবনের জন্য বরণ করে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
এ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে কতিপয় প্রস্তাব পেশ করছি। (১) অযোগ্য ও অদক্ষ ড্রাইভারদের সনাক্ত করে তাদের লাইসেন্স জব্দ করা, (২) ট্রাফিক আইন পরিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা (৩) রাস্তা প্রসস্থ করা, (৪) মাদকদ্রব্য গ্রহণকারী ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, (৫) রোডে প্রয়োজনীয় ডিভাইডার দেয়া, (৬) ভাঙ্গা রাস্তাঘাট মেরামত করা, (৭) ওভারটেকিং না করা, (৮) ব্যবহার অনুপযোগী গাড়ী রাস্তায় না চালানো, (৯) যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, (১০) ওভার ব্রীজ ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহী করা, (১১) রাস্তায় পৃথক/আলাদা লেন করা, (১২) যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং না করা, (১৩) ফুটপাতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা, (১৪) রেল ক্রসিং-এ ওভার ব্রিজ স্থাপন করা ও (১৫) কম গতি সম্পন্ন গাড়ী প্রধান সড়কে চলতে না দেয়া।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ একটি সড়ক দুর্ঘটনা: সারা জীবনের কান্না !!
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), তারিখ: ২৩/০১/২২
২০২১ সালে দেশে ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৮০৯ জন। আহত হয়েছে ৯ হাজার ৩৯ জন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট দুর্ঘটনার ৯১ শতাংশই সড়কে ঘটছে। আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২১’ প্রকাশ করে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৭০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৫১ জন করে মানুষ মারা গেছে। দৃষ্টির অগোচরেও আরও অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও অনেক মানুষ মারা গেছে বলে ধারনা করা হয়। কেউ কেউ আবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্বকে সারা জীবনের জন্য বরণ করে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
এ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে কতিপয় প্রস্তাব পেশ করছি। (১) অযোগ্য ও অদক্ষ ড্রাইভারদের সনাক্ত করে তাদের লাইসেন্স জব্দ করা, (২) ট্রাফিক আইন পরিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা (৩) রাস্তা প্রসস্থ করা, (৪) মাদকদ্রব্য গ্রহণকারী ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, (৫) রোডে প্রয়োজনীয় ডিভাইডার দেয়া, (৬) ভাঙ্গা রাস্তাঘাট মেরামত করা, (৭) ওভারটেকিং না করা, (৮) ব্যবহার অনুপযোগী গাড়ী রাস্তায় না চালানো, (৯) যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, (১০) ওভার ব্রীজ ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহী করা, (১১) রাস্তায় পৃথক/আলাদা লেন করা, (১২) যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং না করা, (১৩) ফুটপাতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা, (১৪) রেল ক্রসিং-এ ওভার ব্রিজ স্থাপন করা ও (১৫) কম গতি সম্পন্ন গাড়ী প্রধান সড়কে চলতে না দেয়া।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ একটি সড়ক দুর্ঘটনা: সারা জীবনের কান্না !!
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), তারিখ: ২৩/০১/২২



আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯)!

আগে আমরা গাওয়ালে যেতাম। আমাদের এলাকায় আগে পিয়াজ, মরিচ, খনিয়া, ডাল ইত্যাদি হতো। আমরা নৌকা নিয়ে পলহান, রাতুরা যেতাম গাওয়াল করার জন্য। গাওয়াল মানে হল পিয়াজ, মরিচ, খনিয়া, ডাল দিয়ে নৌকা ভরে কাঁঠাল আনা। প্রতি বছর আমরা ২/১ বার এই গাওয়ালের মাধমে কাঁঠাল এনে উগার তলায় রাখতাম। প্রতিদিন সকালে কাঁঠাল পাকার গন্ধে মন ভরে যেত। এই পাকা কাঁঠালের গন্ধে সকাল না হতে ঘুম থেকে উঠে যেতাম এবং কাঁঠাল খেয়ে মনের তৃপ্তি মেটাতাম। অনেক সময় নিজেই একটা পুরো কাঁঠাল খেয়ে ফেলতাম (ছোট সাইজ হলে)। বড় কাঁঠাল হলে পরিবারের সবাই মিলে খেতাম। কখনো কখনো পাড়া প্রতিবেশীরাও আসত। এই গাওয়ালের সময় দুই/একটা কাঁঠাল যে পিয়াজ, মরিচ বিনিময় ছাড়া আনতাম না তা কিন্তু সত্যি করে বলতে পারবো না! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ! 



আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০)!

 আগে আমরা শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে স্কুলে যেতাম। আমাদের মা-বাবারা আমাদের শুধু একদিন স্কুলে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে এসেছেন। এরপর আর কোন দিন স্কুলে যেত না। আমরা শিক্ষার্থীরা একত্রে স্কুলে যেতাম এবং আসতাম। খুবই ভালো লাগতো। কখনো কখনো অন্য পাড়ার শিক্ষার্থীদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতো, ঝগড়া লেগে যেত। কিন্তু পরক্ষণে আমরা আবার মিলে যেতাম। গলাগলি ধরে হাঁটতাম। আমাদের মধ্যকার ঝগড়া কখনো চিরস্থায়ী ঝগড়ায় পরিনত হতো না। এখন দেখি পুরা বিপরীত চিত্র! ঝগড়া-বিবাদ হলে মানুষ আর অন্যের সাথে কথা বলে না। এমন কি অন্যের বিরুদ্ধে মামলাও করে দেয়। আয় রে জামানা! আরও কত কি দেখতে হবে কালে কালে ??? আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !



 Logo by Swapon